মৃদুভাষণ ডেস্ক :: অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৈশাখী মেলা। দেশটির রাজধানী মেলবোর্নের গ্লোরিয়া পাইক নে ...বিস্তারিত »
‘ম্যাডাম বলেছেন, তাই মনোনয়নপত্র কিনেছি’

মৃদুভাষণ ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে (ডিএনসিসি) বিএনপির মনোনয়নপত্র কিনেছেন শাকিল ওয়াহিদ সুমন ও মেজর (অব:) আকতারুজ্জামান।
রোববার সকালে মনোনয়নপত্র কিনে মেজর (অব:) আকতারুজ্জামান বলেন, ম্যাডাম (বিএনপি চেয়ারপার্সন) আমাকে মনোনয়নপত্র কেনার অনুমতি দিয়েছেন বলে আমি কৃতজ্ঞ। আমরা বলেছি, ২০১৮ সাল পরিবর্তনের বছর। পরিবর্তন হবে, হতেই হবে। জাতীয়তাবাদী শক্তির জয় হবে।
মনোনয়ন না পেলে আপনার অবস্থান কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাহলে যিনি পাবেন, তাকে শতভাগ সমর্থন দিব। ম্যাডামের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
এদিন সকাল ১১টার পর থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে বিএনপি। বিক্রি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হচ্ছে। দুপুর ১২টার পর তাবিথ আউয়াল, দুপুর ২টায় আসাদুজ্জামান রিপন নয়াপল্টন থেকে মনোনয়নপত্র কিনবেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা।
গতকাল স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর আগ্রহী প্রার্থীদেরকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই মনোনয়নপত্র কিনতে বলা হয়েছে। শনিবার রাতে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক চলাকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আরো ২৫ হাজার টাকাসহ মনোনয়নপত্র দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। একই দিন গুলশান কার্যালয়ে ৮.৩০টায় প্রার্থীদের সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার পর ১৮ জানুয়ারি আগ্রহীদের মধ্য থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়ে দেবে বিএনপি। ওইদিন ইসিতে ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
এর আগেই বিএনপি মনোনীত চুড়ান্ত প্রার্থীকে ১ লাখ টাকা জামানত দিয়ে এবং ২৭ হাজার টাকায় ভোটার তালিকার সিডিসহ মনোনয়নপত্র কিনতে হবে। এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
শনিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডিএনসিসির প্রার্থী চুড়ান্তকরণের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন খালেদা জিয়া। বৈঠক থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত দেন খালেদা জিয়া।
গত ১ ডিসেম্বর সাবেক মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে ডিএনসিসির মেয়র পদটি শূণ্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ভোট গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিটির ভোটের আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন।