শনিবার, ২১ মে ২০২২, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি :: বড়লেখায় হিন্দু কলেজ ছাত্রী কাকলী রানী দাস (১৭) অপহরণের ২৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের উপ-পরিদর্শক শরীফ উদ্দিন অপহরণকারী ফাইম আহমদের সাথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীর বিয়ে ও ধর্মান্তরিত করার কাজে সহযোগিতা করেছেন। ঘটনার ২২ দিন পর বিভিন্ন মহলের চাপে পুলিশ অপহরণকারীর মা ও ছোটবোনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও পওে ছেঢ়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপহৃত কলজেছাত্রীর বাবা ঘোলসা গ্রামের বাসিন্দা মিকন দাস জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে কাকলী রানী দাস বাড়ি থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ব্রাম্মনের চক গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে ফাইম আহমদ তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। মিকন দাস বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় জিডি (জিডি নং-৬৪/১৮) করেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক উপ-পরিদর্শক শরীফ উদ্দিনকে দায়িত্ব দেন।
মিকন দাস অভিযোগ করেন, উপ-পরিদর্শক শরীফ উদ্দিন ফাহিমের বাড়িতে কয়েকবার লোক দেখানো অভিযান চালান, বাড়িতে গিয়ে অপহরণকারীসহ মেয়েকে পেয়েও তিনি গ্রেফতার ও উদ্ধার করেননি। বিভিন্ন মহলের চাপে ঘটনার ২২ দিন পর রবিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপ-পরিদর্শক শরীফ উদ্দিন অপহরণকারীর মা ও ছোটবোনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও পরে ছেড়ে দিয়েছেন । আমার মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া স্বত্ত্বেও জোরপুর্বক এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে ও ধর্মান্তরিত করার কাজে এস.আই শরীফ উদ্দিন সহযোগিতা করেন বলে মিকন দাস জানান।
অপহরণকারী সাথে হিন্দু কলেজ ছাত্রীর বিয়ে ও ধর্মান্তরিতার কাজে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-পরিদর্শক শরীফ উদ্দিন জানান, জিডি পেয়ে তিনি ভিকটিমকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। কিন্তু এখনে তিনি কোন সন্ধান পাননি।