বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
মৃদুভাষণ ডেস্ক :: নৌবাহিনীর সত্তরতম বর্ষপূর্তিতে আগামী সপ্তাহের মহড়ায় পারমাণবিক ডুবোজাহাজ ও ডেস্ট্রয়ারসহ নতুন যুদ্ধজাহাজ প্রদর্শন করবে চীন। শনিবার দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
বেইজিং দিনে দিনে নিজের সামরিক শক্তিকে আরও জোরদার ও সুসজ্জিত করে যাচ্ছে। পিপলস লিবারেশন আর্মিকে(পিএলএ) নতুন করে ঢেলে সাজাতে ব্যাপক পরিকল্পনার দেখভাল করছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজেই।
শত্রুপক্ষের চোখ ফাঁকি দিতে পারে এমন স্টেলথ বিমান থেকে শুরু করে যুদ্ধজাহাজ- সবকিছুতে নিজেকে নতুন করে শ্রীবৃদ্ধি করছে চীন। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগর ও স্বশাসিত তাইওয়ানেও নিজের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে দেশটি।
বেইজিংয়ের এই আধুনিকায়ন প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হবে তাদের নৌবাহিনী। বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশটি এখন সমুদ্রতীর থেকে বহুদূর ছাড়িয়ে তার প্রকল্পগুলোর কথা ভাবছে। এছাড়া ভিন্ন দেশের মাটিতে নিজের নাগরিক ও বাণিজ্য পথ সুরক্ষায় নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
ইতিমধ্যে চলতি বছরে প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭.৫ শতাংশ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে দেশটি। গত বছরের তুলনায় গতি ধীর হলেও চীন তার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুইনডাওতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপনৌকমান্ডার কিউ ইয়ানপেং বলেন, মঙ্গলবারের নৌমহড়া সম্ভবত শি জিনপিং নিজেই তত্ত্বাবধান করবেন।
এতে ৩২টি নৌযান ও ৩৯টি যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। যদিও এ বিষয়ে চীন এখনো নিশ্চিত করেনি।
কমান্ডার কিউ বলেন, পিএলএ’র নৌজাহাজ ও যুদ্ধবিমান বলতে যা প্রকাশ করা হবে, তা হচ্ছে নতুন ধরনের পারমাণবিক ডুবোজাহাজ, লিওনিং যুদ্ধজাহাজ, নতুন ডেস্ট্রয়ার ও যুদ্ধবিমান। কিছু কিছু যুদ্ধজাহাজ প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা হবে।
লিওনিং হচ্ছে চীনের প্রথম যুদ্ধজাহাজ। ১৯৯৮ সালে যেটি ইউক্রেন থেকে ক্রয় করা হয়েছিল। পরে চীনে সেটিকে নতুন করে পুনর্নির্মাণ করেছে। কিন্তু দেশটির দ্বিতীয় কোনো যুদ্ধজাহাজ আছে কিনা, সে সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
কিংবা কেবল চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে দ্বিতীয় কোনো যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে কোনো পরিষ্কার ধারনা পাওয়া না গেলেও গত কয়েকদিনে দেশটির সরকারি গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সমুদ্র মহড়ার গুণকীর্তন করে সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে।
এ মহড়ায় অবশ্যই একডজনের কাছাকাছি বিদেশি নৌবাহিনী অংশ নেবে। কিন্তু এ সম্পর্কে কোনো সঠিক ধারনা দেননি কমান্ডার কিউ।